ঐতিহ‍্য পরম্পরা মেনে পূজিত হন দেবী ধ্বনি গ্ৰামের জমিদার বাড়ির ঠাকুরদালানে

20th October 2020 8:22 pm বাঁকুড়া
ঐতিহ‍্য পরম্পরা মেনে পূজিত হন দেবী ধ্বনি গ্ৰামের জমিদার বাড়ির ঠাকুরদালানে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বদলেছে সময়, বদলেছে পরিস্থিতি। এখন আর ঝাড়বাতি জ্বলেনা দালানে, বসেনা জলসার আসর। জমিদারী চলে যাওয়ার সাথে সাথেই জৌলুস হারিয়েছে সারেঙ্গার ধবনি গ্রামের পাল জমিদার বাড়িতে। তবে পূজোর জৌলুস কমলেও আজো ভক্তি শ্রদ্ধা ভরে পাল জমিদার বাড়িতে পূজিত হন মা দূর্গা। স্থানীয় নদী থেকে ঘট এনে হয় পূজোর সূচনা, নিয়ম নিষ্ঠা ভরে চলে পূজো। এই সময়টাতেই সমবেত আত্মীয় স্বজন এবং পাল পরিবারের সদস্যরা।  ১৮৪১ খ্রীস্টাব্দে ধবনী পাল জমিদার স্বরুপ চন্দ্র পালের স্ত্রী শ্যামা সুন্দরী স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পূজোর সূচনা করেন। জমিদার স্বরুপ চন্দ্র পালের আদি বাড়ি ছিল বর্তমান বিষ্ণুপুরের গোঁসাইপুর গ্রামে। তিনি রাইপুরের রাজ বাড়িতে কাজ করতেন এবং রাজার বিশ্বাস ভাজন হওয়ায় তদানিন্তন রাজা তাঁর রাজত্বের বেশ কিছুটা এলাকা ছেড়ে স্বরুপ চন্দ্র পালকে। তিনি জমিদারীর পত্তন করেন। শোনা যায় এলাকায় বেশ দাপট ছিল পাল জমিদার দের। সেই জমিদারের স্ত্রী শ্যামা সুন্দরী স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পূজোর সূচনা করেন। তৈরী হয় মন্দির, আটচালা। পূজোর সময় আটচালায়, মন্দিরে জ্বলতো ঝাড় লন্ঠন, বসতো জলসা, আসতো কলিকাতার বিখ্যাত যাত্রার দল। ধুমধাম আর হই হুল্লোড় পড়ে যেত এলাকায়। তবে সেসব যেন আজ অতীত। জমিদার বাড়ির নোনা ধরা দালান প্রায় ধ্বংসের মুখে, আগাছা দখল করেছে পুরানো দালান ঘর, ঝাড় বাতিতে পড়েছে মরচে। তবে তাতে কি, ভক্তি শ্রদ্ধায় এত টুকুও টান পাড়েনি জমিদার বাড়িতে। কষ্টের মধ্যেই এই কটা মাতৃ আরাধনায় মন দেন পরিবারের সদস্যরা। বৈষ্ণব মতে এখানে হয় পূজো। প্রতি বছর না হলেও মাঝে মাঝে এলাকার যাত্রা শিল্পীদের যাত্রা পালাও পরিবেশিত হল বাড়ির সদস্যদের উদ্দ্যোগে। প্রাচীন ঐতিহ্যকে আজো বাঁচিয়ে রাখতে চান পাল বাড়ির সদস্যরা।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।